শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
8.2 C
Toronto

Latest Posts

এলিয়েন আসছে!

- Advertisement -
ছবি সংগৃহীত

কোভিড-১৯ মহামারি কানাডিয়ানদের আগের চেয়ে বেশি সময় বাড়ির বাইরে থাকতে বাধ্য করছে। এতে করে অ্যাস্ট্রনমির প্রতিও তাদের আগ্রহ বাড়ছে এবং রয়্যাল মাউন্টেড কানাডিয়ান পুলিশের (আরসিএমপি) ৯১১ নাম্বারে অদ্ভুত সব ফোনকল আসছে।

আরসিএমপির আলবার্টা কেন্দ্র গত বছর ফোনকল পেয়েছিল প্রায় ৯ লাখ এবং সংখ্যাটি অস্বাভাবিক রকমের বেশি। তবে এসব ফোনের সবই এসেছিল অগ্নি বা পুলিশি সহায়তা চেয়ে তা নয়।

- Advertisement -

আলবার্টার রেড ডিয়ার সেন্টারের পরিচালন ব্যবস্থাপক ট্র্যাসি দুভাল বলেন, ফোন কার ব্যক্তিদের অনেকের মধ্যেই এ ধারণা জন্মেছে যে, এলিয়েন পৃথিবীর বুকে নেমেছে এবং তারা তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দিতে চাইবে। কাউকে কাউকে এমনও বলতে শুনেছিÑনা, এটা সত্যি। এলিয়েন আসছে।
সাস্কেচুয়ানের শেলব্রুকের বাসিন্দা ইভান ডেভিস ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে গাড়ি চালিয়ে কাজে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা জোৎ¯œার মতো। পেছন থেকে সুর্যটা চলে এলো এবং হঠাৎ আলো ফেললো। তারপরও বিরাট একটা আলোর কুন্ডলি চলে গেল। যাওয়ার সময় একটা লেজ রেখে গেলো টো এক থেকে দুই সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতা আমি ভুলবো না। এটা ছিল তাক লাগানোর মতো একটা ঘটনা এবং পুরো বিষয়টি ছয় থেকে সাত সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। পুরো আকাশ আলো করে এটা চলে গেল।

গত ফেব্রুয়ারিতে আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানের ওপর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে একটি ধুমকেতুর খন্ডাংশকে জ¦লতে দেখা গিয়েছিল।

এ ঘটনা নিয়ে উইনিপেগভিত্তিক সংস্থা ইউএফওলজি রিসার্চ গত মার্চে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। তাতে কানাডাজুড়ে ২০২০ সালের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি ইউএফও নজরে আসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য ক্রিস রুটকোভস্কি বলেন, এক বছরে ১ হাজার ২৪৩টি ঘটনা যেকোনো একক বছরের জন্য রেকর্ড সর্বোচ্চ।

সাস্কেচুয়ানে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রন ওয়াড্রন বলেন, মহামারির মধ্যে মানুষ রাতের আকাশ বেশি দেখছে। সত্যিই এটা অ্যাস্ট্রোনমির প্রত্যাবর্তন। আগে রাতের আকাশ দেখার ফুসরতই তারা পায়নি। অ্যাস্ট্রোনমাররা বছরের পর বছর ধরে যা দেখে আসছেন সাধারণ মানুষও তাই দেখছেন এবং বলছেন, এটা কি আমি জানি না। নিশ্চই এটা ইউএফও হবে।

ওয়ালড্রন বলছেন, আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে এবং মানুষের চোখে তা ধরা পড়ছে। এমনকি আকাশ পরিস্কার থাকলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনও দেখা যায়। কিন্তু মানুষ কি দেখছে তা তারা ব্যাখ্যা করতে পারছে না। মহামারির আকাশে অচিহ্নিত কোনো কিছুর উদয় ঘটেনি। আগে যা ছিল তাই আছে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.